মুুহিব্বুল হক
শায়খুল হাদিস, মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী রহ. | |
---|---|
কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ০৭ জুন, ২০২১ | |
মুহতামিম, জামিয়া কাসিমুল উলুম দরগাহে হজরত শাহজালাল | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১২ মার্চ ২০১৯ থেকে আমৃত্যু | |
পূর্বসূরী | মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়া |
উত্তরসূরী | মাওলানা মাশুকুদ্দীন (বড়বাড়ী) |
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালীম বাংলাদেশ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় জুন ৩, ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | মাওলানা শিহাব উদ্দিন |
উত্তরসূরী | মাওলানা ইউসুফ খাদিমানি |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
মৃত্যু | মে ১৭, ২০২৩ |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
প্রধান আগ্রহ | হাদিস, ফিকহ, লেখালেখি, তাসাউফ, ইসলামি আন্দোলন, শিক্ষা |
যেখানের শিক্ষার্থী | দারুল উলুম হাটহাজারী |
স্বাক্ষর |
মুহিব্বুল হক (জন্ম: ৬ ডিসেম্বর ১৯৪৫, মৃত্যু: ১৭ মে, ২০২৩) একজন বাংলাদেশী দেওবন্দী ইসলামি পণ্ডিত। শায়খুল হাদিস, শিক্ষাবিদ ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে জামেয়া কাসিমুল উলূম দরগাহ হযরত শাহজালাল রহ.- সিলেট’র মুহতামিম (প্রিন্সিপাল) ও শায়খুল হাদিস, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’র সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য, আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, উলামা পরিষদ বাংলাদেশ ও খাদিমুল কুরআন পরিষদ বাংলাদেশের আমৃত্যু সভাপতি । এছাড়াও তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্থার নেতৃস্থানীয় পদে রয়েছেন এবং একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। ধর্মীয় শিক্ষায় অনন্য অবদানসহ সামাজিক বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় ২০২২ সালে তিনি ‘রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা’ পদক লাভ করেন[১]। বৃহত্তর সিলেটে তিনি ‘গাছবাড়ী হুজুর’ নামে পরিচিত।
জন্ম ও বংশ
[সম্পাদনা]মুহিব্বুল হক ১৯৪৫ সালের ৬ ডিসেম্বর সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মুহাম্মাদ ইসহাক কানাইঘাট অঞ্চলের স্বনামধন্য আলেম ছিলেন।
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]তিনি ডাকনাইল দক্ষিণ সরকারি বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষালাভের পর নিজ এলাকার গাছবাড়ী মাযাহিরুল উলূম কওমি (আকুনি মাদরাসায়) ভর্তি হয়ে নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষালাভ করেন। ১৯৬৩ সালে কানাইঘাট দারুল মাদরাসায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষালাভ করেন। ১৯৬৫ সালে ঢাকাউত্তর রানাপিং আরাবিয়া হোসাইনিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন, সেখান থেকে চলে যান দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসায়। ৪ বছর লেখাপড়া করার পর ১৯৬৯ সালে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন।[২] সে বছর সারাদেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষায় তিনি সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেন। [২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৯৬৯ সালে সুনামগঞ্জ দরগাহপুর মাদরাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনের সূচনা হয়। এরপর ১৯৭৩ সালে তিনি সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া কাসিমুল উলুম দরগাহে হজরত শাহজালাল (দরগাহ মাদরাসায়) শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হন। [৩]
তাসাউফ
[সম্পাদনা]শায়খে কৌড়িয়া খ্যাত মাওলানা আবদুল করীম রহ.-এর আধ্যাত্মিক দীক্ষা গ্রহণ করেন। তাঁর সুলুক ও মুজাহাদায় মুগ্ধ হয়ে অল্পদিন পরেই শায়খে কৌড়িয়া খেলাফত প্রদান করেন। [২]
সম্মাননা
[সম্পাদনা]ধর্মীয় শিক্ষায় অনন্য অবদানসহ সামাজিক বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় তিনি ‘রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা-২০২২’ পদক লাভ করেন।[১]
ইন্তেকাল
[সম্পাদনা]২০২৩ সালের ১৭ মে (বুধবার) সন্ধ্যায় তিনি কর্মস্থল দরগাহ শাহজালাল রহ. তিনিতিনি মাদ্রাসায় স্ট্রোক করেন। তাৎক্ষণিক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "'রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে সম্মাননা' পাচ্ছেন মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী"। একুশে জার্নাল ডটকম। ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩।
- ↑ ক খ গ মুখলিসুর রহমান, রাজাগঞ্জী (৬ জুলাই, ২০২২)। "মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ীর সংক্ষিপ্ত জীবনী"। কওমিপিডিয়া। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "সিলেটের বরেণ্য আলেম মুহিব্বুল হক আর নেই"। দৈনিক যুগান্ত (অনলাইন ভার্সন)। মে ১৭, ২০২৩।
- ↑ "সিলেটের বরেণ্য আলেম মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি আর নেই"। দৈনিক কালের কণ্ঠ (অনলাইন ভার্সন)। মে ১৮, ২০২৩।